বিজ্ঞানীদের মতে, ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে আমাদের দেহের অঙ্গভঙ্গি দেখে বোঝা যায় আমরা সত্যি বলছি নাকি মিথ্যা বলছি। কণ্ঠস্বর বা চোখের নড়াচড়ায় ফুটে ওঠে আমাদের মনের গোপন অভিপ্রায়।
1) যে ব্যক্তি সত্যি বলবে তার চোখে চোখ রেখে কথা বলার সাহস থাকবে। কিন্তু কথা বলার সময় যদি কারো চোখের মনি নড়াচড়া করে, বারবার চোখের পাতা ফেলেন বা অন্যদিকে তাকিয়ে কথা বলেন তারমানে সে মিথ্যে কথা বলছে।





2) শ্রোতাকে আশ্বস্ত করতে অনেকেই কৃত্তিম হাসি দিয়ে মিথ্যে ঢাকতে চাই, তার বিশ্বাস অর্জন করতে চাই তার দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকলেই বুঝতে পারবেন সেই হাসিটা সত্যি নাকি নকল।
3) মিথ্যে কথা বলার সময় মানসিক চাপ পড়ে যার দরুন মানুষ এর হার্টবিট বেড়ে যায়। এই কারণেই মিথ্যে বলার সময় শ্বাস-প্রশ্বাস দ্রুত হয়ে যায়। বা মিথ্যা কথা বলতে বলতে চুইংগাম চিবালে তার হার দ্রুত হয়। যদি এই ধরনের কোন লক্ষন দেখেন তার মানে সে মিথ্যা কথা বলছে।





4) যে সত্যি কথা বলবে তার মধ্যে স্থিরতা থাকবে কিন্তু যদি মিথ্যা কথা বলেন তাহলে অনেকক্ষেত্রে তাকে বিচলিত দেখায়। অর্থাৎ হাত পা নিজের পরিধিত কোন বস্তু যেমন হাতের আংটি ব্রেসলেট ইত্যাদি নিয়ে নাড়াচাড়া করতে বা ঘোরাতে দেখা যায়।





5) যে সত্যি কথা বলবে সে হবে স্ট্রেটফরওয়ার্ড কিন্তু যদি কেউ মিথ্যে কথা বলে তাহলে মিথ্যে ঢাকতে গিয়ে অনেক অপ্রাসঙ্গিক আলোচনায় জড়াতে দেখা যাবে তাকে।