মানুষের শ’রীরে পি’ত্ত কো’ষে অথবা পি’ত্তবা’হী না’লী’তে পি’ত্তর’স জ’মা’ট বে’ধে প্র’স্ত’র’ক’ণা আকার ধারণ করে যাকে পি’ত্ত পা’থ’রী বলা হয়ে থাকে। পি’ত্তবা’হী না’লী’তে কোনো অ’সু’বিধা দেখা দিলে এই রো’গটি হতে পারে। স’চরা’চর এই রো’গ’টি অন্য কোনো কারণে হয় না। রো’গে’র পি’ত্ত কো’ষ বা গ’লব্লা’ডারে যে পি’ত্ত পা’থ’র হয় তার আকার এবং প্রকার বিভিন্ন রকম।
যেকোনো সা’ইজের ছোট-বড়-মাঝারি গোলাকার, সাদা কালো কাটা সবুজ বর্ণ ইত্যাদি হতে পারে। বা’লু কণার মতো অথবা পায়রার ডিমের আকারেরও হতে পারে। একটি অথবা একধিক পা’থ’রী পি’ত্ত পি’ত্ত জমে তী’ব্র ব্য’থা হয়।





আমাদের দেশে এই রো’গে আ’ক্রা’ন্ত রো’গী’র সংখ্যা অত্যন্ত বেশি। এই পাথর যতদিন পি’ত্ত’কো’ষে আবদ্ধ থাকে ততদিন রো’গী তেমন বিশেষ অ’স্ব’স্থি বো’ধ করেনা, মাঝে মাঝে সামান্য বেদনার অনুভব করে। কিন্ত যখন পি’ত্ত’কো’ষ হতে এই পা’থ’রগুলো পি’ত্ত না’লী’র মধ্য এসে পড়ে তখনই অ’স’ম্ভব ব্য’থা’র সৃষ্টি হয় এবং রো’গী অ’স্থি’র হয়ে পড়ে। এই ব্য’থা’কে ‘পি’ত্ত শূ’ল বা বি”লিয়ারি ক’লিক বলে।
শা’রী’রিক বি’ধিশু’দ্ধ নিয়মানুসারে পি’ত্তকো’ষ থেকে স’ঞ্চি’ত পি’ত্তর’স পি’ত্তনা’লী দিয়ে ক্র’মে ক্র’মে ক্ষু’দ্রা’ন্তের প্রথমাংশ বা ডি’উ’ডে’না’মের মধ্যে প্রবাহিত হয়। আ’হারা’দির দো’ষে অথবা পি’ত্ত কো’ষে’র বা পি’ত্ত না’লীর প্র’দা’হ’জ’নিত কারণে এই পি’ত্ত প্র’বা’হ বি’ঘ্নি’ত হতে পারে।





ফলে পি’ত্তর’স জ’মা’ট বে’ধে যায় এবং ধী’রে ধী’রে পি’ত্ত পা’থ’র দেখা দেয়। যদি পি’ত্ত পা’থ’র ছোট হয় বা বালু কণার মত হয় তখন তা অনেক সময় নিজে থেকেই বেরিয়ে যায় এবং কখন সেটা বেরিয়ে যায় তা ঠিক বোঝা যায় না।
তবে পি’ত্ত পা’থ’র আকারে বড় হলে বেরিয়ে যেতে পারে না তখন ব্য’থা’র সৃ’ষ্টি হয় এবং রো’গী ক’ষ্ট পায়। পি’ত্ত কো’ষ অ’ঞ্চলে মাঝে মাঝে ব্য’থা ল’ক্ষ’ণ দেখে অনেক সময় ধ’রা যায়। আবার অনেক সময় জী’ব’নভ’র পি’ত্ত পা’থ’রী পি’ত্ত কো’ষে থেকে যায় এবং তা সত্বেও রো’গী কোন রূ’প কোন ব্য’থা’র অনুভব করে না।





এই রো’গ হলে পি’ত্ত ক্ষ’র’ণ যথারীতি হতে পারে না। সর্বদা ঘরে বসে মা’ন’সি’ক পরিশ্রম করা, মা’ছ, মাং’স প্রভৃতি উ’ত্তে’জক খাদ্য গ্রহণ, অধিক পরিমাণে চুন খাওয়া বা যা’ন্ত্রি’ক কোন গো’লযো’গ হেতু এই রো’গ হতে পারে।
পি’ত্ত রো’গে’র কারণ হিসাবে এখানে উল্লেখ করা যায়- কিছু কিছু পি’ত্ত পা’থর ক্যা’ল’সি’য়াম লবণ অথবা বি’লো’রু’বিনের মাধ্যমে সৃষ্টি হয়। তবে বি’লো’রু’বিন দিয়েই বেশি সৃষ্টি হয়ে থাকে। অতি নগন্য ক্ষেত্রে ক্যা’ল’সি’য়া’ম ল’বণ দ্বারা সৃষ্টি হয়। হে’মো’লা’ই’সি’সজ’নিত কারণে অতি মাত্রায় বি’লো’রু’বিন সৃষ্টির ফলেই এই পা’থর হতে পারে। পি’ত্ত প্র’বা’হ ঠিকমত না হলে পি’ত্ত জ’মা’ট বে’ধে যে পা’থ’র সৃ’ষ্টি হয় সেটা পরীক্ষা করে জানা গেছে।





প্র’চ’ন্ড বে’দ’না ডান পাশ হতে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। প্র’চ’ন্ড ব্য’থা’য় রো’গী ছ’ট’ফ’ট করে এবং অ”স্থির হয়ে পড়ে। অনেক সময় ব্য’থা’র সঙ্গে ব’মি, পি’ত্ত ব’মি হয়ে থাকে। ব্য’থা’র সঙ্গে ঠা’ন্ডা ঘা’ম দেখা দেয়। না’ড়ী দু’র্ব’ল হয়, ছ’ট’ফ’ট ভাব এবং হি’মা’ঙ্গ ভাব দেখা দেয়, শ্বা’স প্র’শ্বা’সে ক’ষ্ট হয়। অনেক ক্ষেত্রে রো’গী’র জ’ন্ডি’স রো’গ হয় এবং দে’হ হলুদ ব’র্ণ’ হয়ে যায়।
অ’পা’রে’শন ছাড়া এই রো’গে’র কোনো বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে গ’লব্লা’ডারের সা’র্জা’রি’টায় ল্যা’পা’রো’স্কপি প’থিকৃ’ত। ল্যা’পা’রো’স্ক’পির অ’পা’র’শনের মাধ্যমে রো’গী পুরোপুরি সু’স্থ হয়ে যায়। এ জন্যই ল্যা’পা’রো’স্কপি সা”র্জারি দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে।
লো ক্যা’লো’রির সু’ষ’ম খাবার খান। দরকার হলে পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিন। খাবারে যেন বৈচিত্র্য থাকে। রোজ এক ধরনের খাবার না খেয়ে সব রকম খাবার মিলিয়ে মিশিয়ে খান।





ফা’ই’বারস’মৃদ্ধ খাবার রাখুন খাদ্যতালিকায়৷ যেমন, সবুজ শাক-সবজি, ফল, ব্রা’উ’ন রাইস, আটা–জোয়ার–বাজরার রুটি, ব্রাউন ব্রেড, খোসাওলা ডাল ইত্যাদি৷ পি–নাট বাটার খেতে পারেন।
মাং’স বা চি’কে’নের যে অং’শে চ’র্বি কম থাকে সেই অংশ খান৷ চি’কে’নের চা’ম’ড়া ছা’ড়ি’য়ে নেবেন অবশ্যই৷ খাবারের তালিকায় বৈচিত্র্য আনুন। নি’রা’মিষ প্রো’টি’নও খাবেন মাঝে মাঝে৷
যে ফ্যা’ট শরীরের জন্য ভাল এমন কিছু রাখুন রো’জের ‘ডা’য়ে’টে। যেমন বাদাম, অ্যা’ভো’কা’ডো, অ’লি’ভ অ’য়ে’ল। দিনে ২–৩ টেবিল চামচ বা ৩০–৪৫ মিলির বেশি তেল খাবেন না৷