আপনার পাশে ওপাশ ফিরে নিশ্চিম্তে ঘুমোচ্ছেন যিনি তাকে দেখে আপনি নিশ্চই মাঝে মাঝে ভাবেন অনেক কিছু৷ বিয়ের আগে একেই কি ভলোবেসেছিলেন আপনি? অথবা ভাবেন গাঁটছড়া বাঁধার আগে আপনাকে কেউ বিয়ের সাইড এফেক্টের লিস্ট শোনালে আপনি মুচকি হেসে ভাবতেন সব ছেলে একরকম হয় না! বিয়ের আগেও তো এই মানুষটাকেই চিনতেন আপনি!





কিন্তু এরকম করে চিনতেন কি? তখনও কি আপনার মনে এই না বলতে পারা প্রশ্নগুলো জেগেছিল কোনও দিন? যেগুলো হমেসাই জাগে বিয়ের পর? তবে আপনি অন্য স্ত্রীদের থেকে ব্যতিক্রম নন৷ রোজ এরকম প্রশ্ন জাগে বেশির ভাগ স্ত্রীর মনেই৷ মিলিয়ে দেখুন তো আপনার মনের সঙ্গে৷





১. ঘরের আর সব কাজের মধ্যে রান্না করা প্রধান কাজ৷ মা ঠাকুমারা বলতেন হাতের রান্নাই নাকি পারে স্বামীর মন জয় করতে৷ কিন্তু সারাদিনে পাঁচ পদ রেঁধে খাওয়ালেও যেন কম পরে পাতে৷ তার পরেও হাসিহাসি মুখে অনুরোধ আসে শেষ পাতে চাটনি হলে ভালো হত৷ তখন আপনার হয়তো মনে হয় আপনাকে কি যন্ত্র ভাবে আপনার স্বামী?





২. সারাদিন পরে অফিস থেকে ফিরেই আপনার স্বামী কি বসে পরে বোকা বাক্সের সামনে? আপনার সারা দিনের জমিয়ে রাখা কথা না শুনে খবরের চ্যানেল খুলে বসে পরেন! উল্টে আপনি কিছু বলতে গেলে থামিয়ে দেন আপনাকে? তখন নিশ্চই আপনার মনে হয় আপনার প্রয়োজনীয় কথার থেকে দেশ উদ্ধারে বেশি ব্যস্ত আপনার স্বামী? টিভি নিয়েই তো কাটাতে পারতেন বাকি জীবনটা? আপনাকে কী দরকার ছিল তার?
৩. সারাদিন প্রতিদিনের সংসারের কাজের পরে যখন শ্বশুরকূলের কোনও আত্মীয় হঠাৎ এসে উপস্থিত হন আপনার বাড়িতে আর তাকে আপ্যায়ন করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়েন আপনি! তখন আপনার মনে হতেই পারে এই পরিবারে কি পজ বটন নেই?
৪. সকালে ঘুম থেকে উঠে আপনি প্রচণ্ড ব্যস্ত রান্না ঘরে৷ হয়তো বরের টিফিন গোছাচ্ছেন শেষ মুহূর্তে তখনই ডাক পরে আপনার৷ নিজের মোজাও খুঁজে পান না আপনার স্বামী৷ কিন্তু হয়তো সামনে হাত বাড়ালেই পেয়ে যেতেন সহজে৷ তখন আপনার মনে হয় এইটুকু যে নিজে করে নিতে পারে না সে অফিস করে কি করে?





৫. যেদিন আপনার বাড়ির কাজের মেয়েটি ছুটি নেয়! সেদিনের কথা তো আর বলে দিতে হয় না! রান্নার পরে বাসনের ঢিপি নিয়ে বসে ইচ্ছে হতেই পারে সেগুলো না পরিষ্কার করে ছুঁড়ে ফেলে দিতে!
৬. আপনার সারাদিন ধরে গুছিয়ে রাখা ঘরটি যখন আপনার স্বামী ফেরার এক মিনিটের মধ্যে আবার অগোছালো হয়ে যায় তখন নিশ্চই আপনি ভাবেন সব দোষ আপনার শ্বাশুড়ির৷ কিভাবে ঘরে থাকতে হয় সেটুকুও শেখায় নি আপনার স্বামীকে!





৭. আপনার স্বামীকে নিয়ে আপনার সমস্যা যখন চুড়ান্ত পর্যায়ে তখন নিশ্চই একবার মনে পরে তার কথা বিয়ের আগে যিনি আপনার স্বামীর গুড বয় সার্টিফিকেট দিয়েছিলেন৷ আর সেই ব্যক্তিকে বিশ্বাস করেই আজ আপনার এই অবস্থা!
তবে যাই হোক না কেন আপনার দিন থেকে রাত তো এই মানুষটিকে ঘিরেই৷ তাই মনে রাখবেন এতো কিছু যে আপনি করে যাচ্ছেন তা এটাই প্রমাণ করে যে আজও এই মানুষটি আপনার ওপর কতোটা নির্ভর করে৷ আপনিও তো ভালোবাসেন বলেই এইসব অভিযোগকে দূরে সড়িয়ে মেতে থাকেন সংসার সাজাতে!