সন্তান কথা শোনে না ? কোনো নিয়মই মানতে চায় না ? শাসন না করে সমাধান করুন এইভাবে…

সব বাবা-মা চায় নিজের সন্তানকে ছোট থেকে শাসনে রেখে বড় করে তুলতে। কিন্তু সময় আর পরিস্থিতির চাপে তা হয়তো সম্ভব হয়ে ওঠে না। কারন ছোট বেলায় বেশী শাসন করলে বাচ্চারা অবাধ্য হয়ে যায়। তা স্বত্বেও অভিভাবকরা চান তাদের সন্তানকে নিয়ম মেনেই বড় করে তুলতে। এর জন্য অনেক শাসন করে থাকেন তাদের।

কোন বাচ্চার পক্ষেই ছোট থেকে ঠিক ভুলের বিচার করে কাজ করা সম্ভব নয়। তাই আপনি ছোট থেকেই তাকে ভালো করে বোঝান। কোনটা ঠিক আর কনটা ভুল তার তফাৎ শেখান। কোন কাজ বেশী জরুরি যেটা এখন করতে হবে সেটার সম্পর্কে ধারনা দিন। আর কোন কাজটা এখন না করে পরে করলে হবে সেটার সম্পর্কে তাকে বুঝিয়ে দিন।

সবার আগে বাচ্চাকে শেখান সময়ের কাজ সময়ে করতে হবে। তাকে সময়ের গুরুত্ব বোঝান। সময়ের কাজ সময়ে না করলে কি কি সমস্যা হতে পারে সেটা সম্পকে তাকে জ্ঞ্যান দিন। তাহলে ভবিষ্যতে কোনো নিয়ম ভাঙার আগে শিশু সচেতন থাকবে।

আপনার সন্তান যখন নিয়ম মেনে কোনো কাজ করছে তখন তার প্রশংসা করুন। তার কাজে তাকে উৎসাহ দিন। শিশু তার অভিভাবকদের থেকে উৎসাহ পেতে বেশী ভালবাসে। এর ফলে তার কাজের দক্ষতা বাড়ে।

বাচ্চাকে কোনো সময় মারধোর বা কোন বিষয়ে অতরিক্ত শাসন করে কিছু শেখাতে যাবেন না। এর ফল বিপরীত হতে পারে। তার মনে আঘাত লাগতে পারে এবং তার চারিপাশের পরিবেশ সম্পর্কে ধারণা খারাপ হয়ে যেতে পারে। যখন তার বয়স বাড়তে থাকে এই ভয় উদ্ধত করে তোলে তাদের।

আপনি সারাদিনের সব কাজের মধ্যেও আপনার শিশুকে সময় দিন। শিশুর স্কুল, বন্ধুবান্ধব, নানা ব্যস্ততা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকুন। দিনের মধ্যে কিছুটা সময় কেবল শিশুর জন্যই বরাদ্দ রাকুন। এর ফলে আপনাদের সম্পর্ক আরোও বন্ধুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে এবং নতুন কিছু শিখতে তৎপর হবে।

সংসারে এমন কিছু কাজ থাকে যেগুলি আপনার শিশু নিজেই করে ফেলতে পারবে। এমন কিছু হালকা কাজের দায়িত্ব তাকে দিন। যার ফলে সে দায়িত্ববান হয়ে উঠবে। শিশুর সামনে আপনারা দুজনেই এমন কিছু আচরণ করবেন না যাতে সে বুঝতে পারে আপনাদের মধ্যে কোন সমস্যা হয়েছে। নিজেদের সমস্যা নিজেরা মিটিয়ে নিয়ে শিশুর সামনে নিয়ম মেনে চলুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.