স্তন ক্যান্সার কি?
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা বলছেন আমাদের দেশের আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। আর সাথে বাড়ছে স্তন ক্যান্সারে আক্রান্তের হার।
চিকিৎসকেরা বলছেন, অস্বাভাবিকভাবে স্ত’নের কিছু কোষ বেড়ে গেলে, ওই অনিয়মিত ও অতিরিক্ত কোষগুলো বিভাজনের মাধ্যমে টিউমারে পরিণত হয়।





সেটি রক্তনালীর লসিকা ও অন্যান্য মাধ্যমে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে। এই ছড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতাই ক্যান্সার।
স্তন ক্যানসার হওয়ার কারণ?
বর্তমান বিশ্বের মহিলাদের কাছে স্তন ক্যান্সার একটি আতঙ্কের নাম। আর এর প্রকোপ দিন দিন বেড়ে চলেছে। প্রচলিত বেশির ভাগ কেমোথেরাপি এই রোগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। ফলে স্তন ক্যান্সার দিনে দিনে আরও চিন্তা বাড়াচ্ছে । কিন্তু জানেন কি, দৈনন্দিন কিছু অভ্যাসের ভুলে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকটাই বেড়ে যায়।





জেনে নিবো তেমনই ৮টি খারাপ অভ্যাসের কথা, যেগুলি স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়।
১। স্ত’নের আকার অনুযায়ী সঠিক মাপের ব্রা ব্যবহার না করা স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। স্ত’নের আকারের চেয়ে বড় মাপের বক্ষবন্ধনী স্ত’নের টিস্যুগুলোকে ঠিকমত সাপোর্ট দিতে পারে না। অতিরিক্ত ছোট বা টাইট ব্রা স্ত’নের তরলবাহী লসিকাগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
২। সারাক্ষণ ব্রা পরে থাকার কারণে ঘাম হবার অসুবিধে, আর্দ্রতা জমে থাকা, সব মিলে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়। ঘরে থাকার সময়ে ব্রা ব্যবহার না করার চেষ্টা করুন।





৩। প্লাস্টিকের বক্সে খাবার রাখা এবং বিশেষত সেটিতেই ওভেনে গরম করা স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে প্রত্যক্ষ ভূমিকা নিতে পারে।
৪। কাঁচের পাত্র ব্যবহার বেশী করা। আর প্লাস্টিক ব্যবহার করতে চাইলে তা ফুড গ্রেড কিনা নিশ্চিত হয়ে নিন।
৫। ঘামের দূর্গন্ধ এড়াতে ডিওডোরেন্ট ব্যবহার করেন প্রায় সবাই। কিন্তু এই ডিওডোরেন্ট কেনার সময় খেয়াল রাখুন এতে কী কী উপাদান আছে ।





৬। এলুমিনাম বেসড উপাদান থাকলে তা স্তন ক্যান্সারের ঝুকি অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়। ডিওডোরেন্ট যেহেতু আপনি প্রতিদিন ব্যবহার করেন, তাই এ বিষয়ে সতর্ক উচিত।
৭। অতিরিক্ত ওজন, মানসিক চাপ, ধূমপান-মদ্যপান এগুলোও ফ্যাক্টর।
৮। বংশে এর আগে কোনও নারীর ব্রেস্ট বা ওভারি ক্যান্সার থাকলে ঝুঁকি বেশি।
৯। অল্প বসয়ে কোন কারনে বুকে রেডিয়েশনের চিকিৎসা নেয়া।
কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে?
১। স্ত’নে চাকা বা পিণ্ড দেখা দিলে
২। স্ত’নের বোঁটার কোন ধরনের পরিবর্তন, যেমন ভেতরে ঢুকে গেলে, অসমান বা বাঁকা হয়ে গেলে





৩। স্ত’নের বোঁটা দিয়ে অস্বাভাবিক রস বের হলে
৪। স্ত’নের চামড়ার রং বা চেহারায় পরিবর্তন হলে
৫। বাহুমূলে পিণ্ড বা চাকা দেখা গেলে