দেশের কোনো কোনো অঞ্চলে তাপমাত্রা নেমে যাচ্ছে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এই ৬ থেকে ১০ অথবা ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে আমরা রীতিমতো কুঁকড়ে যাচ্ছি। অথচ রাশিয়ার ওয়মিয়াকন নামক গ্রামে জানুয়ারি মাসজুড়ে তাপমাত্রা ছিল ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে।





এই গ্রাম পৃথিবীর সবচেয়ে ঠান্ডা স্থান। গ্রামটি ঠান্ডার শেষ সীমানা নামেও পরিচিত। ওয়মিয়াকন গ্রামের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে মাইনাস ৭১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।অনলাইন মেইলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গ্রামটি সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে পড়ায় ৭৫০ মিটার উপরে। শিতের সময় এই গ্রামে দিনে ৩ ঘণ্টার জন্য সূর্য দেখা যায়। সাধারণত ডিসেম্বর মাস থেকে এখাকার তাপমাত্রা প্রায় ৫০ডিগ্রীর নিচে থাকে। গ্রামবাসী এখন ঠান্ডায় অভ্যস্ত হয়ে গেছেন। তবে মাইনাস ৫২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে তাপমাত্রা নেমে গেলে তখন বন্ধ রাখা হয় গ্রামটির একমাত্র স্কুল। তবে গ্রীষ্ম কালে দেখা যায় সম্পূর্ণ ভিন্ন রূপ। দিন থাকে ২১ ঘণ্টা আর তাপ থাকে ৩০ ডিগ্রী সেলসিয়াসের উপরে।





ওয়মিয়াকন গ্রামে প্রায় পাঁচশ মানুষ বাস করেন। মূলত বল্গা হরিণ পালন, শিকার ও মাছধরা এদের প্রধান পেশা। প্রচণ্ড ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে এখানকার অধিবাসীরা ফসলের চাষ করতে পারেন না। বল্গা হরিণের মাংস এদের খাবারের প্রধান উৎস।
প্রচণ্ড ঠান্ডার কারণে ওয়মিয়াকন গ্রামের বাসিন্দাদের বেশ কিছু সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। এর মধ্যে রয়েছে কলমের কালি জমে যাওয়া কিংবা একবার বন্ধ করার পর গাড়ি আবার চালু করা। এ ছাড়া ঠান্ডার কারণে ব্যাটারি দ্রুত তার কার্যক্ষমতা হারায়। সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো,





গ্রামের কেউ মারা গেলে বরফের কারণে তাঁকে কবর দেওয়ার জায়গা পাওয়া যায় না। সে ক্ষেত্রে মৃতদেহভর্তি কফিন সমাধিস্থ করার আগে কবর খননের জন্য আগুন জ্বালিয়ে বরফযুক্ত মাটি কাটা হয়, যা করতে অন্তত তিন দিন সময় লাগে।
তবেএই নিম্ন তাপমাত্রার করণেই ওয়মিয়াকন গ্রামটি শিত উপভোগ করা পর্যটকের জন্য আকর্ষণীয় স্থানে পরিণত হয়েছে।