৮৬ হাজার বছর পর প্রথম বারের মতো তুরস্কের ঐতিহাসিক আয়া সোফিয়া মসজিদে পবিত্র রমজানের প্রথম তারাবি অনুষ্ঠিত হয়েছে। করোনা সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে তারাবি হয়।





বিশ্ব স্থাপত্যের অনন্য নিদর্শন আয়া সোফিয়াকে ১৯৩৪ সালের নভেম্বরে কামাল আতাতুর্কের মন্ত্রিপরিষদের জাদুঘর রাখার সিদ্ধান্ত বাতিল করে তুরস্কের সর্বোচ্চ আদালত।
তুরস্কের রাষ্ট্রপতি রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে ইস্তাম্বুলের আয়া সোফিয়াকে পুনরায় মসজিদ হিসেবে ব্যবহারের ঘোষণা দেন। গত বছরের ২৪ জুলাই শুক্রবার থেকে সেখানে নিয়মিত নামাজ শুরুর ঘোষণা দেওয়া হয়।





উল্লেখ্য, ৫৬৭ খ্রিস্টাব্দে বাইজান্টাইন সাম্রাজ্যের খ্রিস্টানদের সর্ববৃহৎ গির্জা হিসেবে আয়া সোফিয়া নির্মাণ করা হয়। ১৪৫৩ খ্রিস্টাব্দে মুহাম্মাদ ফাতিহ কনস্টান্টিনোপল বিজয় করে খ্রিস্টানদের কাছ থেকে তা ক্রয় করে ৪৮১ বছর মসজিদ হিসেবে ব্যবহার করেন। ১৯৩৬ সালে আধুনিক তুরস্কের জনক মুস্তফা কামাল আতাতুর্ক এটিকে জাদুঘরে রূপান্তর করেন।





সূত্র: আরটি ডটকম
খেলা থামিয়ে মাঠেই ইফতার করলেন তুরস্কের ফুটবলাররা!
রমজান মাসে রোজাদারের কাছে প্রতিটি মুহূর্ত আনন্দের। তবে ইফতারের সময় রোজাদার অপার প্রশান্তি অনুভব করে থাকেন এবং ইফতারের পর মনোদৈহিক ও আধ্যাত্মিক তৃপ্তির এক অনাবিল সুখানুভূতিতে নিজেকে পরম সৌভাগ্যবান বলে মনে করে থাকেন।
নতুন খবর হচ্ছে, খেলা থামিয়ে মাঠেই ইফতার সারলেন তুরস্কের আঙ্কারা ক্লাবের ফুটবলাররা। দেশটির লিগ ফুটবলে প্রথম রমজানে এমন ঘটনা ঘটে।





ম্যাচের তখন সবে ১০ মিনিট। আযানের ধ্বনি শুনতেই খেলা থামিয়ে দেন ক্লাবটির ফুটবলাররা। কলা, খেজুর ও পানি দিয়ে মাঠে বসেই ইফতার সম্পন্ন করেন। রোজা অবস্থায় অনেক অ্যাথলেটই খেলা চালিয়ে যান। ৫ মিনিট ইফতারের বিরতির পর আবারও শুরু হয় ম্যাচ।
তুরস্কের আকিঞ্জি ড্রোনের তৃতীয় প্রটোটাইপ মডেল সফলভাবে উত্তীর্ণ!
তুরস্কের আকিঞ্জি ড্রোনের তৃতীয় প্রটোটাইপ মডেল সর্বশেষ পরীক্ষায় সফলভাবে উত্তীর্ণ হয়েছে। সোমবার ড্রোন প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান বায়কার মাকিনার প্রধান প্রযুক্তিবিদ সেলচুক বায়ারাকতার তুর্কি দৈনিক ডেইলি সাবাহকে এই তথ্য জানান।





সেলচুক বায়রাকতার জানান, নতুন ড্রোনটি মধ্যম উচ্চতার শনাক্তকরণ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে।
তিনি আরো জানান, সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এ সামরিক ড্রোনের গণ-উৎপাদন শিগগির শুরু করা হবে।
ডেইলি সাবাহর প্রতিবেদনে বলা হয়, এই বছরই তুরস্কের সামরিক বাহিনীতে আকিঞ্জি ড্রোন সরবরাহের প্রত্যাশা করা হচ্ছে।





ড্রোন প্রযুক্তি ও সরবরাহের ক্ষেত্রে তুরস্ক বর্তমানে শীর্ষস্থানীয় দেশে পরিণত হয়েছে। সিরিয়া, লিবিয়া ও আজাররাইজান-আর্মেনিয়ার মধ্যে বিতর্কিত ভূখণ্ড নাগরনো-কারাবাখে তুর্কি ড্রোন তার সক্ষমতার প্রমাণ রেখেছে। এছাড়া কুর্দি বিদ্রোহী গোষ্ঠী কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) মোকাবেলায় দেশের ভেতরে ও বাইরে সফলভাবে তুর্কি ড্রোন অভিযান চালিয়ে আসছে।





সম্প্রতি তুরস্কের ড্রোন ইউক্রেনের ডানবাস অঞ্চল পর্যবেক্ষনে ব্যবহৃত হয়েছে। এখানে কয়েক সপ্তাহ ধরে রাশিয়ার সাথে ইউক্রেনের সামরিক উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ায় দুই দেশের মধ্যে সংঘাতের সম্ভাবনা প্রবল হয়েছে।
সোমবার রাশিয়া তুরস্ককে সতর্ক করে বলেছে, তুরস্ক যেন ইউক্রেনের কাছে অস্ত্র বিক্রি করে দেশটিকে প্ররোচিত না করে।