রূপকথার কাহিনীর মত যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাটে এক প্রেমিক যুগল ডেভিড-হিদার। তাদের সম্পর্কের শুরুটা ২০১৫ সালের মে মাসে। একটি নাচের ক্লাসে প্রেমিক ডেভিডের চোখে চোখ পড়ে প্রেমিকা হিদার মোজারের। তারপর থেকেই স্বপ্ন বুনছিলেন সময় এলে গাঁটছড়া বাঁধবেন- সুখের সংসার গড়ে তুলবেন।





হঠাৎ এক ঝড় এসে লণ্ডভণ্ড করে দেয় সবকিছু। হিদারের শরীরের ধরা পড়ে স্তন ক্যান্সার। হাল ছাড়েননি ডেভিড থেকেছেন তার পাশে। সময় গড়ায় কমতে থাকে হিদারের আয়ু। দুজনে সিদ্ধান্ত নেন ৩০ তারিখে বিয়েটা করেই ফেলবেন। কিন্তু ডাক্তার বলে দেয় সময় খুব বেশী নেই আর কয়েক ঘণ্টা ।





অতঃপর ২২শে ডিসেম্বর স্থানীয় সেন্ট ফ্রান্সিস চ্যাপেল হাসপাতালে আনুষ্ঠানিক ভাবে একসঙ্গে জীবন কাটানোর শপথ নেন ডেভিড-হিদার। বিয়ের মাত্র ১৮ ঘন্টা পর দুনিয়া থকে বিদায় নেন হিদার মোজার।
সংগৃহীত
আরও পড়ুন।।
সন্দেহপ্রবণ মানুষের আয়ু কম।
সুইডেনের স্টকহোম ইউনিভার্সিটির একদল শিক্ষক ২৪ হাজার মানুষের ওপর গবেষণা করে এ তথ্য দিয়েছেন। খবর ডেইলি মেইল।





ওইসব মানুষের মধ্যে ৩৭ ভাগ অন্যকে বিশ্বাস করে। ৫৮ ভাগ অন্যকে বিশ্বাস করে না। আর ৫ ভাগ কোনো উত্তর দিতে পারেনি।
যুক্তরাষ্ট্রের মৃত ব্যক্তিদের তালিকা থেকে দেখা যায়, জীবদ্দশায় যারা পজিটিভ চিন্তাভাবনা করতেন, তারাই বেশি দিন বেঁচে থেকেছেন।
গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, সন্দেহপ্রবণ মানুষের তুলনায় যারা অন্যকে বিশ্বাস করেন, তারা বেশি দিন বাঁচেন। যারা অন্যকে ক্ষমা করেন, তারাও বাঁচেন বেশি দিন।





এতে আরও দেখা গেছে, বৃদ্ধ বয়সে মানুষ বেশি আশাবাদী হয়। যারা অন্যকে বিশ্বাস করেন তাদের হার্ট ভালো থাকে। তাদের হৃদযন্ত্রজনিত রোগও প্রায় ১৩ ভাগ কম।
স্টকহোম ইউনিভার্সিটির গবেষকরা বলেন, অন্যের প্রতি বিশ্বাস জীবনের উন্নতিকে অনেক সহজ করতে পারে।
তাই সুন্দর জীবনযাপন ও দীর্ঘায়ুর জন্য সন্দেহপ্রবণ মনোভাব দূর করতে হবে এবং মানুষকে বিশ্বাস করতে হবে।





তবে গবেষক আলেকজেন্ডার মেথিন দ্বিমত পোষণ করে বলেন, খুব সহজেই অন্যকে বিশ্বাস করা ঠিক নয়। কেননা মানুষ বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে প্রতারণা করতে পারে।