স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সব বিষয়ে মিল নাও হতে পারে। কারণ মানুষ হিসেবে সকলের নিজস্ব একটি সত্ত্বা রয়েছে। তবে একই ছাদের তলায় থাকতে গেলে দুজনকে কিছু না কিছু বিষয়ে মানিয়ে নিতে হয়। সম্পর্কে উত্তর মেরু-দক্ষিণ মেরু কখনই কাম্য নয়। তবে ছোট খাটো বিষয় থেকে সমস্যার সূত্রপাত হয়। তা স্বামী-স্ত্রী সমঝে চলাই শ্রেয়।





কীভাবে করবেন সমস্যার সমাধান?
১. চুপ করে থেকে বা রাগ করে কোনও সমস্যার সমাধান হয় না। সুতরাং পরিস্থিতির সামাল দিতে নিজেদের আলোচনায় বসতে হবে।
২. প্রথমে মনে রাখতে হবে নিজেরা প্রাপ্তবয়স্ক। তাই ছোটদের মতো কোনও আচরণ করবেন না। নিজেদের সমস্যার মাঝে বাবা-মা ও পরিবারের-কালচার বিষয়ে কথা তুলবেন না।
৩. ধরা যাক, কেউ একজন রাত জেগে বই পড়তে ভালোবাসেন। যদি এরকম হয় তাহলে আলাদা টেবিল ল্যাম্পের ব্যবস্থা করুন। সঙ্গীর কথাও আপনাকে মাথায় রাখতে হবে। দিনের পর দিন কিন্তু এই অভ্যাস চালিয়ে যাবেন না।





৪. রাতে বিছানায় শুয়ে মোবাইল ব্যবহার করবেন না। সেই সঙ্গে একজন ঘুমাচ্ছেন আর অন্যজন গেম খেলছেন বা সিনেমা দেখছেন এরকমটা যেন না হয়। এতে কিন্তু দুজনের মাঝেই সমস্যা তৈরি হতে পারে।
৫. স্বামী বা স্ত্রীর কোনও দুর্বলতা নিয়ে মজা করবেন না বা আত্মীয়-বন্ধুদের সামনে আলোচনা করবেন না। এতে সম্পর্কে অবনতি আসতে পারে।
৬. কোথাও কিছু সমস্যা হলে তা চেপে রাখবেন না। একে অপরকে সমস্যার কথা খুলে বলুন। মনে রাখবেন সামনাসামনি কথা বললে অনেক সমস্যার সহজ সমাধান সম্ভব। চেপে রাখলে বরং সমস্যার উল্টো অর্থ দাঁড়ায়।





৭. একে অপরের শখকে সম্মান করুন। কেই হয়তো রান্না করতে ভালোবাসেন। কেউ হয়তো খেতে ভালোবাসেন। তাই মাঝে মধ্যে দুজনে মিলে এক্সপেরিমেন্টাল কিছু বানাতেই পারেন। এতে সম্পর্ক ভালো হয়।
৮. সকালে একসঙ্গে মর্নিং ওয়াক কিংবা এক্সারসাইজ করুন। এতেও কিন্তু দৃঢ় হয় সম্পর্কের বন্ধন। সেই সঙ্গে মনও ভালো থাকে।
৯. সপ্তাহে একসঙ্গে আড্ডা দিন। গল্প করুন। সব দিনই যে কোথাও বাইরে ঘুরতে, খেতে যেতে হবে এমন নয়। বরং সুযোগ হলে লং ড্রাইভে যেতে পারেন। নিজেদের মধ্যে সময় কাটান। এতে মজবুত হবে সম্পর্কের বন্ধন।