স্বামী বা স্ত্রীকে যা বলবেন যা বলবেন না

আপনি যে কথাই বলুন না কেন—তা শ্রোতার মনে পক্ষে বা বিপক্ষে ছাপ ফেলে। নির্ধারণ করে আপনাদের সম্পর্কের গতিবিধি। সুতরাং আপনার সঙ্গীকে কী বলবেন আর কী বলবেন না সে সম্পর্কে খেয়াল করুন।
আপনার সঙ্গীর প্রতি সবসময় সুন্দর ও শ্রদ্ধাপূর্ণ বাক্য ব্যবহার করুন। পরচর্চা, ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ ও কটূক্তি এড়িয়ে চলুন। আপনার জীবনসঙ্গী বা সঙ্গিনীকে বিয়ের প্রথম দিন থেকেই দিনে অন্তত একবার বলুন, “আমি তোমাকে ভালবাসি”।

ও-তো জানেই বা আমি তো আচরণে দেখাচ্ছিই এটা মনে করে এই বলা থেকে বিরত থাকবেন না। আপনার স্বামী বা স্ত্রীর যোগ্যতার প্রশংসা করুন। পরিবারে তার প্রতিটি অবদানকে অকপটে স্বীকার করুন।স্বামী-স্ত্রীর ব্যাপারে অহেতুক খুঁতখুঁতে হবেন না। কঠোর ভাষায় কখনো তার ভুল ধরিয়ে দেবেন না। ভুলগুলোকে সময়, সুযোগমতো সুন্দরভাবে বুঝিয়ে দিন। সঙ্গিনীর গুণাবলি ও তার ভালো দিকগুলো তুলে ধরুন।

এতে তিনি ভুল সংশোধনে উদ্বুদ্ধ হতে পারেন। অন্যের কাছে স্বামী-স্ত্রীকে ছোট করবেন না বা বদনাম করবেন না। স্বামী বা স্ত্রীর মা-বাবা বা আত্মীয়দের নিয়ে তাকে খোঁটা দেবেন না।সম্পর্কের জটিলতায় সবসময় সরাসরি কথা বলুন। কাউকে মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করবেন না। নেতিবাচক আবেগে মন তিক্ত হওয়ার আগেই সুযোগ বুঝে সরাসরি কথা বলুন।সম্পর্ক যত সরাসরি হবে, ভুল বোঝাবুঝি তত কমবে। স্ত্রীর যে-কোনো অভিযোগ মনোযোগ দিয়ে শুনুন। কোনো প্রস্তাব বা কথায় প্রথমেই ‘না’ বলা থেকে বিরত থাকুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.