মেয়েরা যে ঠিক কী চায়, সেটাই তো বোঝা দুষ্কর। সার্বিক মতামত ও অভিজ্ঞতা থেকে কতগুলো এমন বিষয় লক্ষ করা গেছে, যেগুলো মোটের উপর খুশি করে বেশিরভাগ মেয়েকেই।
একবার নজর বুলিয়ে দেখে নিন, আপনার প্রেয়সীর ক্ষেত্রে কাজে লেগে যেতে পারে এই সাধারণ অথচ খুব দামী কথা।





১. শরীরী ভাষা বোঝাঃ
একটি মেয়ের মনের কোণে উঁকিঝুঁকি মারার সময় অনেকেই মেয়েটির শরীরী ভাষার দিকে নজর রাখতে ভুলে যান। মেয়েটি মুখে কী বলছে, সেদিকে বিশেষ গুরুত্ব না দিয়ে, বোঝার চেষ্টা করুন তাঁর বডি ল্যাঙ্গুয়েজ। তাতেই হতে পারে বাজীমাৎ। সেটা তাঁর তাকানো, মুখের face এক্সপ্রেশন অথবা হাল্কা ছোঁয়া- যাই হোক।





২. প্রশংসাই শেষ কথাঃ
মহিলারা তাঁদের লুক, ড্রেস ও শরীর নিয়ে সর্বদা সচেতন। ‘পার্টির জন্য কেনা নতুন ড্রেসে তাঁকে খুব মোটা লাগছে’ – এই ধরনের সত্যি কথা হাসিমুখে মেনে নেওয়াটা সত্যিই কঠিন যে কোনও মহিলার পক্ষে।
এ জন্যই কিছু ক্ষেত্রে সততার পাঠ ভুলে থাকাটাই বাঞ্ছনীয়। সেজন্যই মিথ্যে প্রশংসা না করলেও মুখের ওপর চরম সত্যিটা না বলাই ভালো।





৩. ঋতুচক্রের ফলে রোজ মেজাজ হারায় নাঃ
মেয়েদের মেজাজ বিগড়োলে বেশির ভাগ পুরুষই ঋতুচক্রের Seasonal cycles দোহাই দিয়ে থাকেন। মনে রাখা দরকার, প্রতিদিন কোনও মেয়ে এই সমস্যায় ভোগেন না। পুরুষের বোকা বোকা কাণ্ড দেখে অনেক সময়ই তাঁদের ধৈর্যচ্যুতি ঘটে। এমন পরিস্থিতি এড়িয়ে না গিয়ে বরং তাকে গুরুত্ব দিয়ে সঙ্গিনীকে সাহায্য করাই বুদ্ধিমানের কাজ।





৪. একটু সম্মান দিনঃ
একটি সম্পর্ক তখনই সফল হয় যখন একে অন্যের কদর করতে পারেন। আপনি তাঁর শখ, পছন্দ, বন্ধু-বান্ধব, চেহারা, মতামত এবং কাজের মূল্যায়ন করার সময় সতর্ক থাকুন যাতে তিনি আঘাত না পান।
৫. ঘ্যান ঘ্যান করা ছাড়ুনঃ
কোনও মেয়েকে ভালো লাগলেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁকে অনুসরণ করা বা প্রতিদিন সকালে নিয়ম করে ‘গুড মর্নিং’ মেসেজ পাঠানো থেকে বিরত থাকুন। মেয়েটির সত্যিই আপনাকে ভালো লাগলে স্বাভাবিক ভাবেই আকৃষ্ট হবে।
এর জন্য ফেসবুক-টুইটার-হোয়াটসঅ্যাপে সকাল-বিকেল লাল গোলাপ আর প্রেমের কবিতা পাঠানোর দরকার নেই। মেয়েরা মনোযোগ আকর্ষণ করতে ভালোবাসে কিন্তু গায়ে পড়া ভাব একেবারেই বরদাস্ত করে না।