অনেকেই মনে ক’রতে পারেন প্রেম ভালোবাসার ক্ষেত্রে বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান হওয়ার সাথে কোনো স’ম্পর্ক থাকতে পারে না। কিন্তু মনে রাখবেন, ছোট বড় ভাইবোনদের মধ্যে বড় হওয়া সন্তান এবং শুধুমাত্র পরিবারের একজন সন্তানের মা’নসিকতা, আচার আচরণ সবকিছুর পার্থক্য থাকবে।





যারা অনেক ভাইবোনের মধ্যে মানুষ হয়েছেন তারা কখনোই এই বিষয়গুলো বুঝতে পারবেন না। একমাত্র সন্তানের অনেক বৈশিষ্ট্য ভালবাসার স’ম্পর্কের জন্য ভালো এবং মন্দ দুটোই হতে পারে। তাই স’ম্পর্কে জড়ানোর পূর্বে বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান স’ম্পর্কে গু’রুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় মনে রাখা জরুরী।





১) বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তানের প্রতি তাদের ভালোবাসা অনেক বেশীই থাকে, কয়েকটি ভাইবোন থাকলে সকলের দিকে নজর দিতে গিয়ে অভিভাবকেরা যা পারেন না। অনেক আদরে বড় হয়ে থাকেন একমাত্র সন্তানেরা। এবং অতিরি’ক্ত আদরে মানুষ হওয়া একমাত্র সন্তানেরা জীবনসঙ্গীর কাছ থেকেও তা আশা করে থাকেন।
২) একমাত্র সন্তান হওয়ার কারণে সকলের নজর তা দিকেই বেশী থাকে। এই বিষয়টির সাথে তারা এতো বেশী অভ্যস্ত হয়ে প’ড়েন যে তার প্রতি নজরের কমতিটা একমাত্র সন্তানেরা অনেক সময় সহ্য ক’রতে পারেন না।





৩) বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তানেরা নিজেদের অনুভূতি প্র’কাশের ক্ষেত্রে অনেক কাঁচা থাকেন। শুধুমাত্র বাবা-মায়ের সাথে কথা বলে মনেরভাব প্র’কাশ করে মানুষ হওয়া একমাত্র সন্তানেরা নিজেদের ভেতরের অনুভূতিটা প্র’কাশ ক’রতে পারেন না বেশীরভাগ সময়ই।
৪) ছোটবেলা থেকেই অনেক আদরে মানুষ বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তানের বেশিরভাগ আবদারই পূরণ করেন অভিভাবকেরা, যার ফলে ‘না’ শোনার অভ্যাসটি গড়ে উঠে না তাদের মধ্যে। বড় হলেও অনেকেই এই অভ্যাসটি ধ’রে রাখেন।





৫) ভালোবাসার স’ম্পর্ক দুজনের পারস্পারিক সমঝোতা, ছাড় দেয়ার মনভাবের উপরে টিকে থাকে। কিন্তু এই বিষয়ে একেবারেই আনারি থাকেন একমাত্র সন্তানেরা।





কারণ তার ভাইবোন না থাকার কারণে কাউকে কোনো ব্যাপারে ছাড় দেয়া এবং দুজনের পারস্পরিক সমঝোতার বিষয়টি বুঝে উঠতেই পারেন না।
৬) বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তানেরা পরিবারের ব’ন্ধনটাকে অনেক বেশী গু’রুত্ব দিয়ে থাকেন এবং নিজে’র পরিবারের প্রতি তার একেবারে অন্যধ’রণের ভালোবাসা কাজ করে ছোট থেকেই। কারণ শুধুমাত্র বাবা-মায়ের কাছে মানুষ একমাত্র সন্তানের সাথে তার বাবা মায়ের স’ম্পর্ক অনেক গ’ভীর ও মজবুত থাকে।