অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার প্রধান সমস্যা হল স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ে এবং ব্রেনের মারাত্মক ক্ষতি হয়। এছাড়া ডিমেনশিয়ার মতো ব্রেন ডিজিজে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।
গবেষনা অনুসারে লবণের সঙ্গে শরীরের প্রতিটি অঙ্গের ভালো এবং খারাপের যোগ রয়েছে, যেমনটি রয়েছে মস্তিষ্কের সঙ্গে।
আসুন জেনে নিই অতিরিক্ত লবণ খেলে যেসব ক্ষতি হতে পারে –
স্ট্রোক
মস্তিষ্কে রক্তের সরবরাহ কমতে শুরু করলে ব্রেনের অক্সিজেনের অভাব হতে শুরু করে। ফলে ধীরে ধীরে ব্রেনের সেল মরতে থাকে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বাড়ে নানাবিধ ব্রেন ডিজিজে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা।
শরীরে লবণের পরিমাণ বাড়তে শুরু করলে স্বাভাবিকভাবেই রক্তচাপ বাড়তে থাকে। আর ব্লাডপ্রেশার বাড়লে স্বাভাবিকভাবেই স্ট্রোকের আশঙ্কা বাড়ে। আর একবার ছোট স্ট্রোক হতে শুরু করলে ব্রেনে রক্তের সরবরাহ কমতে থাকে।
রক্তচাপ বাড়তে থাকে
লবণ খাওয়া যদি নিয়ন্ত্রণ আনা না যায়, তবে ব্লাডপ্রেশার মারাত্মক বাড়তে শুরু করে। আর এটি হলে বাড়ে হার্টঅ্যাটাক এবং স্ট্রোকের আশঙ্কাও।
লবণ মানেই সোডিয়াম, এই খনিজটির মাত্রা রক্তে যত বাড়ে, পটাশিয়ামের পরিমাণ তত কমতে থাকে। ফলে রক্তচাপ বাড়তে শুরু করে।
হার্টের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে
হার্টের কর্মক্ষমতা কমা এবং বাড়া অনেকাংশেই নির্ভর করে রক্তচাপের ওপর। ব্লাডপ্রেশার বাড়তে থাকলে, স্বাভাবিকভাবেই হার্টের ওপর চাপ বাড়তে শুরু থাকে।এমনটি হলে করোনারি হার্ট ডিজিজে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে বাড়ে হঠাৎ করে হার্টঅ্যাটাকের আশঙ্কাও।
স্টমাক ক্যান্সারে ঝুঁকি বাড়ায়
দেহে লবণের পরিমাণ বাড়তে থাকলে নানা কারণে শরীরে হেলিকোব্যাকটার পাইলোরি নামক জীবাণুর মাত্রাও বাড়তে শুরু করে। যার জন্য দেহের অন্দরে প্রদাহের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় যা স্টমাকের মারাত্মক ক্ষতি সাধন করে। সেই সঙ্গে শরীরের এই অংশে ক্যান্সার কোষ জন্ম নেয়ার আশঙ্কাও বেড়ে যায়।
তাই এমন মারণ রোগের হাত থেকে বাঁচতে রোজের ডেয়েটে লবণের পরিমাণ যতটা সম্ভব কমান।
ওজন বৃদ্ধি পায়
শরীরে লবণের মাত্রা বাড়তে শুরু করলে জল তেষ্টা খুব বেড়ে যায়। আর আজকের প্রজন্ম তেষ্টার সময় জলের পরিবর্তে ঠাণ্ডা পানীয় খেতেই বেশি ভালোবাসে। ফলে কোলড্রিংক খাওয়ার পরিমাণ বাড়ে। ফলে খুব দ্রুত ওজন বাড়তে থাকে।