প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মানুষকে বিমোহিত করবেই। অপরূপ সৌন্দর্যে ঘেরা সিলেট। বেড়ানোর জন্য সিলেটে রয়েছে অনেক দর্শনীয় স্থান। যারা ভ্রমণপিপাসু তাদের জন্য অন্যতম পছন্দনীয় জায়গা হচ্ছে সিলেট। বিছানাকান্দি সিলেটের পছন্দনীয় জায়গাগুলোর মধ্যে অন্যতম। আজকে আমরা জানাবো সিলেটের বিছানাকান্দি সম্পর্কে।
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার রুস্তমপুর ইউনিয়নে অবস্থিত বিছানাকান্দি। বিছানাকান্দিকে বলা হয় সিলেটের পাথর কোয়ারী। এছাড়া জাফলংকেও পাথর কোয়ারী বলা হয়।
বিছানাকান্দি বাংলাদেশ এবং ইন্ডিয়ার বর্ডারে অবস্থিত। মেঘালয়ের পাহাড় থেকে স্বচ্ছ পানি এসে ছোট বড় পাথরের উপর পরে। বিছানাকান্দি প্রকৃতি প্রেমিদের জন্য খুবই আকর্ষণীয় স্থান। পর্যটকদের কাছে বিছানাকান্দির পাথরের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া স্বচ্ছ পানিই হচ্ছে মূল আকর্ষন। পাহাড়, পানি, পাথর, আকাশ এবং বাতাস নিয়েই যেন প্রকৃতির সৌন্দর্যে বাধা এই বিছানাকান্দি।
যে কোন সময়ই যেতে পারেন বিছানাকান্দি। তবে শীতকালে না যাওয়াটাই ভালো। এসময় পানি তুলনামুলকভাবে কম থাকে। বর্ষাকাল হচ্ছে বিছানাকান্দিতে যাওয়ার সবচেয়ে উপযুক্ত সময়।
যেভাবে যাবেন
বিছানাকান্দি যেতে চাইলে দেশের যেকোনো জায়গা থেকে প্রথমেই সিলেট যেতে হবে। দেশের যেকোনো স্থান থেকে বাস, ট্রেন কিংবা নিজস্ব গাড়ি ইত্যাদির মাধ্যমে যেতে পারেন বিছানাকান্দি।
ঢাকা থেকে যেভাবে যাবেন
ঢাকা থেকে প্রথমে সিলেট যেতে হবে। বাস, ট্রেন কিংবা প্লেনে করেও যেতে পারেন। সিলেটে পৌঁছে প্রথমে আম্বরখানা থেকে সিএনজি অথবা অটো দিয়ে যাবেন হাদার বাজার। সেখান থেকে মাত্র ২০ মিনিটের দুরত্বেই বিছানাকান্দি। হাদার বাজার থেকে নৌকা করেই একেবারেই পৌঁছে যাবেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা বিছানাকান্দিতে।
কোথায় থাকবেন
বিছানাকান্দি থেকে সিলেটের দুরত্ব বেশি না। বিছানাকান্দিতে থাকার তেমন সুব্যবস্থা নেই। তাই সারাদিন ঘুরাঘুরির পর সিলেটে গিয়ে ভালো কোন হোটেল কিংবা রিসোর্টে থাকতে পারেন।
কি খাবেন
বিছানাকান্দিতে খাওয়ার তেমন কোন ব্যবস্থা নেই। বাহির থেকে খাবার নিয়ে আসতে পারেন। হাদার বাজারে কিছু খাবারের হোটেল আছে এসব হোটেলে গিয়ে খেতে পারেন। তাছাড়া সিলেটে ভালো রেস্টুরেন্ট আছে।
ভ্রমণের কিছু সতর্কতা
১। বিছানাকান্দিতে চারদিকে অনেক পাথর। তাই সাবধানে হাঁটা চলা করবেন।
২। বর্ষাকালে পানির স্রোত একটু বেশী থাকে, এসময় পানিতে নামার আগে খুব সাবধান থাকতে হবে।
৩। সন্ধার আগে শহরে ফিরে আসার চেষ্টা করবেন।