বাংলাদেশ ক্রিকেটের প্রথম সেঞ্চুরিয়ান মেহরাব হোসেন অপি, তার জন্ম ১৯৭৮ সালে।যদি বাংলাদেশ ক্রিকেটের সেরা ব্যাটসম্যানদের তালিকা করা হয় তিনি হয়তো সেরা দশেও থাকবেন না।কিন্তু তাঁকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেটের ইতিহাসটা লেখা যাবে না।বাংলাদেশ ক্রিকেটে একজন অপির অভিষেক ১৯৯৮ সালের ১৪ মে।সেদিন তার ব্যাট থেকে মনে রাখার মতো কোনো স্কোর আসেনি।টেস্ট এবং ওয়ানডে এই দুই ফরম্যাটেই তিনি বাংলাদেশের হয়ে এমন কিছু কীর্তির মালিক।
১৯৯৯ সালে ত্রিদেশীয় সিরিজে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ১১৬ বল খেলে করেছিলেন ১০১ রান, তখন তার বয়স মাত্র ২০ বছর। ম্যাচটা বাংলাদেশ হেরেছিল, কিন্তু অপির নামটা চলে গিয়েছিল ইতিহাসের পাতায়।তার ক্যারিয়ারের প্রথম সাত ওয়ানডেতেই একটি সেঞ্চুরি ও দু’টি হাফ সেঞ্চুরি। গড় ছিল ৩৯ এর ওপরে। কিন্তু মাত্র ১৮ টি ওয়ানডেতেই থেমে যায় অপির ক্যারিয়ার। বলার মত স্কোর গড়তে পারেননি অন্য ১১ টি ওয়ানডেতে।
বাংলাদেশের প্রথম বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করে ১৯৯৯ সালে।অপিই ছিলেন সেই বিশ্বকাপের ওপেনার।ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৬৪ ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৪২ রান করেছিলেন।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আসার আগেই অপির নামটা ক্রিকেট বিশ্বের কাছে পরিচিত ছিল। ১৯৯৮ সালের ২০ ডিসেম্বর ঢাকায় ক্লাব ক্রিকেটের ম্যাচ চলাকালে পাওয়া চোট থেকে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছিলেন ভারতীয় ক্রিকেটার রমন লাম্বা।শর্টে ব্যাটসম্যানের খুব কাছাকাছি হেলমেট ছাড়াই ফিল্ডিং করতে দাঁড়িয়েছিলেন লাম্বা।হেলমেট পরার জন্য লাম্বাকে পরামর্শ দিয়েছিলেন ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট। কিন্তু লাম্বা সে কথা শোনেন নি।
১৯৯৮ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ দলের পক্ষে আন্তজাতিক ক্রিকেট খেলেছেন তিনি।২০১৪ সালে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে মোহামেডানের হয়ে একটা ম্যাচ খেলেন । সেই ম্যাচে তিন রান করেন তিনি। এরপর আর কোন প্রতিযোগীতামূলক ক্রিকেট খেলেননি তিনি।