মোঃ রফিক জন্ম ৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৭০ বাংলাদেশ ক্রিকেট এর সাবেক বাঁ-হাতি স্পিনার।
শারজায় ১৯৯৫ সালে এশিয়া কাপে তাঁর অভিষেক হয়। বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসের সাক্ষী তিনি, আর এর কারন ক্রিকেটের দুটি আলাদা সময়ের সেতুবন্ধনই যে তিনি। তিনি ব্যাটিং বা বোলিং এ আসতেন খুব আগ্রহ নিয়ে খেলা দেখতাম।
১৯৯৪ সালে কেনিয়ায় আইসিসি ট্রফিতে ব্যর্থ হয়ে ১৯৯৬ বিশ্বকাপে জায়গা পাওয়া হয়নি বাংলাদেশের। ১৯৯৪ সালের ডিসেম্বরে দেশের মাটিতে সার্ক ক্রিকেট নামের একটি আমন্ত্রণমূলক প্রতিযোগিতা দিয়ে অভিষেক রফিকের। অভিষেকেই তিনি তার পারফর্মেন্স এর মাধ্যমে দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করলেন। বাঁ-হাতি স্পিনের সঙ্গে মারকুটে ব্যাটিংটাও যে রফিক ভালো করেন তা সবারি জানা।
জীবনের প্রথম একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে তাঁর বোলিং পরিসংখ্যানটি ছিল এমন, ০৫-০০-১৫-০১। এক যুগ পর ২০০৭ সালে হয়েছিল তার সমাপ্তি।
১৯৯৭ সালের আইসিসি ট্রফি জেতা ও বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করা খেলোয়াড়ি জীবনের সবচেয়ে সেরা মুহূর্ত ওই সময়ের সব ক্রিকেটারের। ওটা ছিল বাংলাদেশের ক্রিকেটের টার্নিং পয়েন্ট। বাংলাদেশ ক্রিকেটের সাফল্য এ পর্যন্ত এসেছে কেবল ওই আইসিসি ট্রফির সাফল্যের কারণেই।
১৯৯৮ সালে হায়দরাবাদে অনুষ্ঠিত কেনিয়ার বিপক্ষে সেই ওয়ানডে ম্যাচ, যেটিতে বাংলাদেশ পেয়েছিল প্রথম জয়ের স্বাদ। উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে মোঃ রফিক করেছিলেন ৭৭ রান সাথে হয়েছিলেন ম্যাচসেরাও।
২০০৫ সালের জানুয়ারি মাসের কথা অনেকেরই মনে আছে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২-২-এ সমতায় থাকা সিরিজের শেষ ম্যাচে ওপেনিংয়ে নেমে করেছিলেন ৭২ রান আর দল জিতেছিল ৮ উইকেটে। ২০০৪ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেন্ট লুসিয়া টেস্টে ১১১ রানের ইনিংসটা ছিল অসাধারণ, বোলার হলেও ব্যাট হাতে মোঃ রফিক কম উজ্জ্বল ছিলেন না, তার প্রমাণ এ ম্যাচগুলো।
২০০৭ সালে বিশ্বকাপ শেষে তাঁর বিদায় ছিল গৌরবের। কাউকে কিছু বলার সুযোগ দেননি। কেউ বলতে পারেননি রফিক কে বাদ দিতে হবে, তার পারফরমেন্স ভাল না। এমন গৌরবের বিদায়ই তাঁর ক্রিকেট জীবনের অনেক বড় পাওয়া হয়ে আছে।