অনেকেই অনিদ্রাজনিত রোগে ভুগে থাকেন। অনেকেই বলেন, রাতে ঠিক মতো ঘুম হয় না ও অনেক রাত পর্যন্ত জেগে থাকেন। এতে চোখ ব্যথা হয়ে যায়। কিন্তু এ অনিদ্রা কেন হয়? ঘুমানোর আগে কিছু নিয়ম কানুন অনুসরণ করলে অনিদ্রা সমস্যা দূর হতে পারে। সে সম্পর্কে জেনে নিন-
সংসারে থাকতে গেলে আমাদের ঝগড়া অশান্তি ও খুটিনাটি নানান রকম সমস্যা লেগেই থাকে। কিন্তু চেষ্টা করতে হবে ঘুমাতে যাওয়ার আগে যেন কোনো রকম বিতর্ক না হয়। কারণ মনোমালিন্য নিয়ে ঘুমালে মনের উপর এর বড় একটা প্রভাব পড়ে থাকে।
আর সে মনোমালিন্য নিয়ে নানা রকম কথা ঘুমাতে গেলে মনে পড়ে। তাই ঘুম ভালো হয় না। সারাদিনে কোনো ঝগড়া হলেও সেটা মিটিয়ে বিছানায় ঘুমাতে যেতে হবে। তবে ঘুম ভালো হবে।
বাড়ির অনেক লোকই খাবার পর ঘুমানোর আগে একটা সিগারেট খায়। গবেষকদের মতে, এটা একদমই ঠিক নয়।
ঘুমানোর আগে কোনো রকম নেশা করলে সেটা শরীরকে দুর্বল করে দেয়। আর যেদিন শরীর বেশি দুর্বল বা ক্লান্ত থাকে সেদিন ঘুম আসতে দেরী হবে। তাই শরীর সুস্থ ও সতেজ রাখতে ঘুমানোর আগে কোনো রকম নেশা করা যাবে না।
অনেকেই ঘুমানোর আগে একটু বই পড়ে থাকেন কিংবা খবরের কাগজ পড়ে থাকেন। ঘুমানোর আগে এমন বই পড়তে হবে যেটা ঘুম আসলে বন্ধ করে ঘুমিয়ে যেতে পারবেন। বই পড়ে খুব আগ্রহ লাগলে ঘুম আসবে না। আর কোনো বইয়ের উপর আগ্রহ হলে সেটা শেষ না করা পর্যন্ত ভালো ঘুম হবে না। তাই রাতে ঘুমানোর আগে এ ধরণের কোনো গল্পের বই না পড়াই ভালো।
অনেকেই ঘুমানোর আগে ব্যায়াম করে থাকেন। এটা একদমই ঠিক নয়। কারণ ব্যায়াম করলে শারীরিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। ফলে ঘুম ব্যহত হয়। অনেক সময় আমরা ঘুমানোর আগে টিভি দেখে থাকি। অথবা মোবাইলে গেম খেলি বা ল্যাপটপে নানা রকম কাজ করে থাকি। এটাও করা উচিত নয়। কারণ টিভি বা মোবাইলের স্ক্রিন থেকে বের হওয়া আলোকরশ্মি ঘুমের মাত্রা কমিয়ে দেয়।
অফিসে কাজের খুব চাপ থাকলে অনেক সময় কাজ নিয়ে বাড়ি আসা হয়। বাড়িতে এসে ঘুমের আগে অফিসের কাজ শেষ করতে হবে। যেকোনো কাজ করার সময় মস্তিষ্ক সক্রিয় থাকে। ফলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে থাকে।
তাই অফিসের কাজ বাড়িতে আনা ঠিক নয়। আর তা নাহলে বাড়িতে ফিরে এক কাপ চা খেয়ে অফিসের কাজ শেষ করার চেষ্টা করতে হবে। ঘুমাতে যাওয়ার আগে ফ্রেস মনে ঘুমাতে যেতে হবে। ব্রেইনকে বিশ্রাম দিতে হবে। মানসিক চাপ নিয়ে কখনই ঘুম আসে না।
বাড়িতে শিশু বাচ্চার সঙ্গে ঘুমাতে যাওয়ার আগে অনেকেই খেলা করেন। এটা একদমই করবেন না। এতে শুধু আপনার নয়, ঐ শিশুটিরও ঘুমের ব্যাঘাত ঘটবে। মনে ও মস্তিষ্কে চাঞ্চল্যতা আসলে ঘুমেরভাব অনেক কেটে যায়। তাই বাচ্চাদেরও শেখাতে হবে খেলার সময় খেলা, ঘুমের সময় ঘুম ও পড়ার সময় পড়া।
ঘুমের আগে কোনো কাজ করতে বসলে ঘুম কমানোর জন্য অনেকে চা বা কফি খেয়ে থাকেন। এতে ঘুম কেটে যায়। সহজে আর ঘুম আসতে চায় না। তাই ঘুমের আগে চা বা কফি অথবা কোনো ক্যাফেইন জাতীয় খাবার খাওয়া যাবে না।