এক ভাল বই শত বন্ধুর চেয়ে উওম। বই পড়া অনেক ভাল একটা শখ, অবসর সময়ে নিজেকে আনন্দ দেয়ার জন্য মানুষ কত কাজই না করে। অনেকে শখকেই নিজের ক্যারিয়ারে পরিনত করে। মানুষের রুচিবোধের ভিন্নতায় একেক জনের শখ একেক রকম হয়। বিভিন্ন ধরনের শখ যেমন- ছবি আঁকা, মাটি দিয়ে শৌখিন গয়না তৈরি, ভ্রমনে যাওয়া, ডাকটিকেট ও মুদ্রা সংগ্রহ করা, খেলাধুলা করা, গান করা, নৃত্য করা ইত্যাদি। সব ধরনের শখই মানুষকে আনন্দ দেয়, দেয় একঘেয়ে জীবন থেকে মুক্তি ও চিন্তাধারা পরিবর্তনের সুযোগ। আমার শখ হচ্ছে বই পড়া।
ছোটবেলা থেকেই অভ্যাসটা হয়ে গেছে। দেশি-বিদেশি বিভিন্ন লেখকের বই পড়া হয়েছে আমার। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, সব ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য বই-ই আমাদের অনুপ্রেরণা দেয়। কেন বই পড়বেন ? নতুন পরিবেশে প্রবেশ প্রতিবার বই পড়া হলে নতুন এক জগতে প্রবেশ করা এবং গল্পের চরিত্রে নিজেকে নিয়ে চিন্তা করা যায়।
মজার মজার চরিত্রে নিজেকে ভেবে আনন্দ নেয়ার মজাটা অন্যরকম। আত্মনির্ভরশীল করে তোলে বই পড়া মানুষকে সুন্দর সব কল্পনা করতে শেখায়, আত্মনির্ভরশীল হতে শেখায়, ভাবতে শেখায় আশেপাশের মানুষদের নিয়ে, সমাজের উন্নয়ন নিয়ে। আর এটা সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সাহায্য করে। অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জানা সব ধরনের অভিজ্ঞতা নেয়া কারও একার পক্ষে সম্ভব হয় না। বিভিন্ন ধরনের বই পড়ে আমরা লেখকের ব্যক্তিগত অথবা তার দেখা ঘটনা সম্পর্কে জানতে পারি এবং অভিজ্ঞতা নিতে পারি।
কল্পনাপ্রবণ এবং সহানুভূতিশীল করে তোলে বই পড়া মানুষকে সুন্দর সব কল্পনা করতে শেখায়, ভাবতে শেখায় আশেপাশের মানুষ এবং বিভিন্ন সব ঘটনা নিয়ে। যেটা আমাদের সমাজের ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সাহায্য করে। বিশ্বস্ত ভ্রমণ সঙ্গী একা একা কোথাও যাওয়ার সময় একটা ভালো বই খুব সহজেই আপনাকে উপহার দিবে কিছু সুন্দর সময়, দীর্ঘ ভ্রমণের ক্লান্তিও কেটে যাবে সাথে মন থাকবে প্রফুল্ল। নিজেকে আধুনিক করে যে কোন আড্ডায় বসলে দেখা যায় যে বেশি গল্প বলতে পারে, বাস্তব উদাহরণ,লজিক্যাল তথ্য দিতে পারে তার কদরের শেষ নেই। কোন সময় কী হয়েছিল, ভবিষ্যতে কী হবে আর বর্তমানে খেলার জগৎ, সিনেমা, পোশাক সবকিছু সম্পর্কেই আপ টু ডেট রাখতে সাহায্য করবে বই।
মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য যে কোন ভালো কাজ তৎক্ষণাৎ তার মনের উপর প্রভাব ফেলে, এবং সে বিভিন্ন মানসিক উপকারিতা লাভ করে। যেমন: মনোযোগ বৃদ্ধি পায়, মানসিক শান্তি, নেতিবাচক চিন্তা দূর হয়। নিজেকে জানতে নিজেকে জানার শেষ নেই। জীবনের একটা পর্যায়ে এসে নিজেকে জানাটা আসলেই অনেক কঠিন হয়ে পড়ে। কর্মজীবনে কাজের অফুরন্ত চাপ তো রয়েছেই সাথে সংসার শুরুর পর হাজারটা চিন্তাও মাথায় চেপে বসে। এত চাপে মানুষ নিজের প্রকৃত স্বরূপকেই হারিয়ে ফেলতে শুরু করে ।
একজন মানুষ কর্ম ও সংসারজীবনে প্রবেশের পরও নিজের অস্তিত্বকে হারিয়ে না দিতে চাইলে নিজের কোনো একটি শখকে সময় দিতে হবে এবং প্রতিদিন অন্তত কিছু সময়ের জন্য হলেও সেই শখের সুবাদে সে নিজেকে জানতে পারবে। তাই আমাদের উচিত বই পড়া এবং অন্যকে উৎসাহিত করা।
তাই আমাদের উচিত বই পড়া এবং অন্যকে উৎসাহিত করা।